
শাহাদাত হোসেন রুবেল, বানারীপাড়া:
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব বালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে প্রকাশ্য কোচিং বাণিজ্য। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কোচিং করানোর অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
অভিযোগে অভিভাবকরা জানান, মাহমুদা আক্তারের কাছে কোচিং না করালে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষায় ফেল করানো হয়। এমনকি, প্রাইভেট না পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্যালয়ে অবহেলা করা হয়, যার ফলে শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠ শেষ হতেই মাহমুদা আক্তার শিক্ষার্থীদের প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করে কোচিংয়ে বসান। কোমলমতি শিশুরা ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের চোখেমুখে বিরক্তি আর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। অভিভাবকদের মতে, শিক্ষকরা যেন শিক্ষার্থীদের টাকার পুতুলে পরিণত করেছেন।
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ অনুযায়ী, কোনো সরকারি শিক্ষক নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বা কোচিং করাতে পারবেন না। অথচ এই নিয়ম ভেঙে চলছে নির্লজ্জ বাণিজ্য।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছবি হালদারের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষক মাহমুদা আক্তার দাবি করেন, “আমি শুধু অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছি, কোনো অর্থ নিই না। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করছি এবং প্রধান শিক্ষিকাও বিষয়টি জানেন।”
অন্যদিকে, উপজেলা শিক্ষা অফিসার খগোপতি রায় বলেন, “আমি সাব-ক্লাস্টার ট্রেইনারের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে শোকজ করা হবে এবং জেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিভাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন সচেতন মহল।